Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

প্রকল্পের নাম
বাজার অবকাঠামো, সংরক্ষণ ও পরিবহন সুবিধার মাধ্যমে ফুল বিপণন ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ প্রকল্প।
বিস্তারিত
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিকল্পে কৃষিপণ্য বিপণন সংক্রান্ত নানামুখি সহায়তামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন ১৭(সতের)টি সংস্থা কাজ করছে। তন্মধ্যে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর একটি সরকারী সংস্থা হিসেবে কৃষককে তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি ও ভোক্তা সাধারণের জন্য যৌক্তিক মূল্যে পণ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করার মত বিপরীতমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এই অধিদপ্তর কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি স্থায়ী সংস্থা হিসেবে বিপণন সংক্রান্ত এই চ্যালেঞ্জিং কাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। প্রতি বছর কৃষি জমির পরিমাণ ক্রমাগত হ্রাস পাওয়া সত্বেও খাদ্যশস্য উৎপাদনে দেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। পরিকল্পিত উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে কৃষিপণ্য উৎপাদন লাভজনক করার প্রয়োজনীয়তা ব্যাপকভাবে অনুভূত হচ্ছে। কৃষিপণ্য বিপণন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা বিরাজমান। কৃষিপণ্যের বিপণন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ সমস্যার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য কৃষি পণ্য বিপণনের নতুন নতুন প্রক্রিয়া এবং টেকসই প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রযুক্তির প্রচলন করা জরুরী হয়ে পড়েছে। কৃষিপণ্য বিপণন ব্যবস্থার নতুন নতুন বাণিজ্যিক ধারা সৃষ্টির লক্ষ্যে এই অধিদপ্তর নানামূখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে “বাজার অবকাঠামো, সংরক্ষণ ও পরিবহন সুবিধার মাধ্যমে ফুল বিপণন ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ” শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে মানিকগন্জ, যশোর, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত ৭২০০ বর্গফুট আয়তনের এক তলা বিশিষ্ট পাকা এ্যাসেম্বল সেন্টার নির্মাণ করা হবে। তাছাড়া কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক, ব্যবসায়ী ও প্রক্রিয়াজাতকারীদের নিয়ে দলভিত্তিক বিপণন ব্যবস্থা সৃষ্টির জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। গ্রাম্য হাটবাজার ও ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক কৃষক, ব্যবসায়ী ও প্রক্রিয়াজাতকারীদের উৎপাদিত ফসল/ পণ্য বিপণনের জন্য শহরাঞ্চলের বাজারসমূহের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগসূত্র (Linkage) স্থাপন করার কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।
প্রকল্পের ধরণ
সার্কুলার
label.Details.title
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিকল্পে কৃষিপণ্য বিপণন সংক্রান্ত নানামুখি সহায়তামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন ১৭(সতের)টি সংস্থা কাজ করছে। তন্মধ্যে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর একটি সরকারী সংস্থা হিসেবে কৃষককে তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি ও ভোক্তা সাধারণের জন্য যৌক্তিক মূল্যে পণ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করার মত বিপরীতমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এই অধিদপ্তর কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি স্থায়ী সংস্থা হিসেবে বিপণন সংক্রান্ত এই চ্যালেঞ্জিং কাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। প্রতি বছর কৃষি জমির পরিমাণ ক্রমাগত হ্রাস পাওয়া সত্বেও খাদ্যশস্য উৎপাদনে দেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। পরিকল্পিত উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে কৃষিপণ্য উৎপাদন লাভজনক করার প্রয়োজনীয়তা ব্যাপকভাবে অনুভূত হচ্ছে। কৃষিপণ্য বিপণন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা বিরাজমান। কৃষিপণ্যের বিপণন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ সমস্যার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য কৃষি পণ্য বিপণনের নতুন নতুন প্রক্রিয়া এবং টেকসই প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রযুক্তির প্রচলন করা জরুরী হয়ে পড়েছে। কৃষিপণ্য বিপণন ব্যবস্থার নতুন নতুন বাণিজ্যিক ধারা সৃষ্টির লক্ষ্যে এই অধিদপ্তর নানামূখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে “বাজার অবকাঠামো, সংরক্ষণ ও পরিবহন সুবিধার মাধ্যমে ফুল বিপণন ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ” শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে মানিকগন্জ, যশোর, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত ৭২০০ বর্গফুট আয়তনের এক তলা বিশিষ্ট পাকা এ্যাসেম্বল সেন্টার নির্মাণ করা হবে। তাছাড়া কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক, ব্যবসায়ী ও প্রক্রিয়াজাতকারীদের নিয়ে দলভিত্তিক বিপণন ব্যবস্থা সৃষ্টির জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। গ্রাম্য হাটবাজার ও ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক কৃষক, ব্যবসায়ী ও প্রক্রিয়াজাতকারীদের উৎপাদিত ফসল/ পণ্য বিপণনের জন্য শহরাঞ্চলের বাজারসমূহের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগসূত্র (Linkage) স্থাপন করার কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।
কাজের বর্ননা
বাজার অবকাঠামো, সংরক্ষণ ও পরিবহন সুবিধার মাধ্যমে ফুল বিপণন ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের উদ্দেশ্যঃ ১. প্রকল্প এলাকায় বিপণন সেবা সম্প্রাসরণ এবং খামারের সাথে সরাসরি বাজার সংযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে কৃষকদের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি সহায়তাকরণ ও আয়বৃদ্ধি। ২. ফুলের ভ্যালু চেইন এবং সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থার উন্নয়ন। ৩. ফুলের বিপণন ও সংরক্ষন ব্যবস্থা সম্প্রাসরনের নিমিত্ত অবকাঠামো সুবিধা স্থাপন করে আধুনিক এবং টেকসই বাজার সংযোগ বিস্তার। ৪. বাজার ভিত্তিক কৃষক দল গঠন করে বিপণন সক্ষমতা বৃদ্ধি। ৫. প্রশিক্ষণ ,প্রনোদনা এবং অন্যান্য প্রচারমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে ফুলের কর্ত্তনোত্তর ক্ষয়ক্ষতি এবং বিপণন ব্যয় হ্রাস। বাজার অবকাঠামো, সংরক্ষণ ও পরিবহন সুবিধার মাধ্যমে ফুল বিপণন ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আউট পুট (Out put): ১. গৃহ পর্যায়ে স্বল্পমূল্যের প্যাকেজিং এবং প্রক্রিয়াজাত প্রযুক্তি,ফুলে এবং ফুলের চারা সংরক্ষন বিষয়ে ৫৪০ জন কৃষক,ব্যবসায়ী,রপ্তানিকারক,প্রক্রিয়াজাতকারী ইত্যাদি এবং ৫০ জন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষিত করা হবে। ২. উৎপাদক পর্যায়ে স্বল্প খরচে কর্তনোত্তর ফুলের ব্যবস্থাপনা এবং বাজারজাতকরন পদ্ধতি বিস্তার। ৩. প্রকল্প,চলাকালীন সময় শেষে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি এবং কর্তনোত্তর ক্ষতি ৩০% হ্রাস। ৪.প্রকল্প এলাকায় বিশেষ করে মহিলাদের কাজের সুযোগ বৃদ্ধি। ৫.গৃহ পর্যায়ে প্যাকেজিং প্রক্রিয়াজাত করন এবং সংরক্ষন ব্যবস্থার মাধ্যমে ফুল মৌসুমে কৃষকদের আপদকালীন বিক্রয় থেকে সুরক্ষা প্রদান। ৬.জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক বাজারে উৎকৃষ্ট মানের ফুলের সরবরাহ বৃদ্ধি। ৭.ফুলের উৎপাদনশীল এলাকায় মান সম্মত একত্রীকরণ সুবিধা,কুলচেইন এবং সংরক্ষন সুবিধা বৃদ্ধি। ৮.ফুল রপ্তানির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিশ্চিত করা। ৯.কৃষি বিপণন অধিদপ্তরে ওয়েব সাইটের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকায় বিভিন্ন বাজার থেকে ফুলের মূল্য এবং অন্যান্য কৃষি পণ্যের মূল্য সংগ্রহ। এসেম্বল সেন্টার নির্মাণের উদ্দেশ্যঃ ১.স্থানীয় কৃষকদের সাথে বাজারের স্থাপন এবং বিপণন সেবা সম্প্রাসারণের মাধ্যমে কৃষকের পণ্যের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি সহায়তা করা। ২.দলভুক্ত কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রধানের মাধ্যমে কৃষি পণ্যের বিপণন ব্যয় এবং সংগ্রহোত্তর অপচয় হ্রাস করা। ৩.কৃষি পণ্য বিপণনে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি,কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তিতে সহয়তাকরণ এবং সুষ্ঠ বাজারজাত করণের মাধ্যমে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি ও জীবন মান উন্নয়নের সহয়তা করা। ৪.এসেম্বল সেন্টারে বিদ্যমান বিভিন্ন সেবা যথাঃ ওয়াশিং সুবিধা,প্যাকেজিং স্পেস লোডিং আনলোডিং স্পেস(RAMP) ইত্যাদি সুষ্ঠভাবে ব্যবহারের নিশ্চয়তা দক্ষতা বৃদ্ধি করা। ৫.নির্মিত টয়লেটসমূহ সুষ্ঠভাবে পরিচালনার পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা। ৬।বাজারে নির্মিত ওপেন স্পেসে কৃষকদের নিজেস্ব পণ্যাদি বিক্রি নিশ্চিতকরণসহ সংশিষ্ট সকলের ব্যবহারের জন্য উম্মুক্ত রাখা। এসেম্বল সেন্টার ব্যহারের সুবিধাঃ ১.কৃষিপণ্যের অধিক মূল্য প্রাপ্তির সুবিধার্থে সটিং গেডিং এর সুবিধা বিদ্যমান। ২.কৃষি পণ্যের কর্তনোত্তর ক্ষতি কমানোর লক্ষ্যে প্যাকেজিং স্পেস সুবিধা বিদ্যমান। ৩.পণ্য ওজন করার জন্য পরিমাপক স্কেল ব্যবহার সুবিধা বিদ্যমান। ৪.কৃষকদের উৎপাদিত শাক সবজি/ফলমুল/মশলা/ফুল ইত্যাদি কৃষিপণ্য পরিস্কার-পরিছন্ন করার জন্য শেডর অভ্যন্তরে পানি সরবরাহ সম্বলিত ওয়াশিং সুবিধা বিদ্যমান। ৫.পণ্য ট্রাকে বা অন্য যে কন পরিবহনের উঠা-নামা করার লোডিং-আনলোডিং স্পেস (RAM) বিদ্যমান। ৬.স্বাথ্য সম্মত পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা আছে। ৭.কমবেশি ১২০বর্গফুট বিশিষ্ট প্রয়োজনীয় আসবার পত্রসহ অফিস কক্ষের ব্যবস্থা আছে।
ডাউনলোড